জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার চাপারকোনা ডোয়াইল এলাকায় ক্লুলেস ইজিবাইকচালক আ. কাদের মধু হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ও ইজিবাইক ছিনতাইকারী মো. নান্নু মিয়া নান্দুকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব)-১৪ একটি আভিযানিক দল। ২২ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১২টা ৫মিনিটের দিকে একই উপজেলার চরধানাটা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ওই গ্রামেরই মৃত মুজিবর রহমান মুন্সির ছেলে।
র্যাবের জামালপুর কার্যালয় থেকে ২৩ ডিসেম্বর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই গ্রেপ্তারের তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভুক্তভোগী ইজিবাইকচালক নিহত আ. কাদের (৩৮) সরিষাবাড়ী উপজেলার হাসড়া মাজালিয়া গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি গত ২৩ অক্টোবর বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে প্রতিদিনের মত ইজিবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ২৪ অক্টোবর সরিষাবাড়ী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন পরিবারের সদস্যরা। পরে সেদিনই বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার চাপারকোনা পোস্ট অফিসের সামনে ঝিনাই নদীতে আ. কাদেরের লাশ পাওয়া যায়।
র্যাব জানায়, ওই ঘটনার পর র্যাব জামালপুর ক্যাম্পের প্রতিনিধি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ছায়া তদন্ত শুরু করে আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রাখেন। বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে আসামিকে চিহ্নিত এবং অবস্থান নিশ্চিত করতে সক্ষম হয় র্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় ২২ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১২টা ৫ মিনিটের দিকে র্যাব জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. আবরার ফয়সাল সাদীর নেতৃত্বে র্যাবের একটি আভিযানিক দল উপজেলার চরধানাটা গ্রাম থেকে আসামি মো. নান্নু মিয়াকে গ্রেপ্তার করে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গ্রেপ্তার আসামি নান্নু মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ ও আনুষঙ্গিক তথ্য প্রমাণে র্যাব জানতে পেরেছে যে নান্নুসহ বরিশালের রাকিব ও সোহেল, নারায়ণগঞ্জের রাজু, শরিয়তপুরের হালিম এবং জামালপুরের সরিষাবাড়ীর লিটন ঘটনার আগের দিন স্থানীয় একটি হোটেলে অবস্থান করে এবং ইজিবাইক ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। ঘটনার দিন আ. কাদেরের ইজিবাইককে লক্ষ্য করে যাত্রীবেশে তার ইজিবাইকে উঠে তারা। পরবর্তীতে আনুমানিক রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঝিনাই নদীর পশ্চিম পাশে চাপারকোনা পোস্ট অফিসের সামনে গেলে তারা ইজিবাইক ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। ইজিবাইকচালক কাদের বাধা দিলে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে কাদেরকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরবর্তীতে তারা ইজিবাইকটি নিয়ে বরিশাল এলাকায় বিক্রি করে দেয়।
র্যাব জানায়, ছিনতাই হওয়া ইজিবাইকটি উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। গ্রেপ্তার আসামিকে সরিষাবাড়ী থানায় মামলা মোতাবেক মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
জামালপুর ট্রিবিউন/আবু সাঈদ