স্টাফ রিপোর্টার:
জামালপুরে বাবার বিরুদ্ধে ১২ বছর বয়সী এক কন্যা শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে জামালপুর পৌর এলাকার চন্দ্রা গ্রামে। মঙ্গলবার সকালে অভিযুক্ত বাবা কবির শেখ কফিলকে (৩৫) আটক করেছে পুলিশ।
নির্যাতনের শিকার শিশুর মা মনি বেগম (৩০) জানান, স্বামী কবির শেখ কফিলের প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর ১৪ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুই কন্যা ও এক ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। তাছাড়া কফিলের প্রথম স্ত্রীর আরও দুই কন্যা সন্তান রয়েছে, তারা বিবাহিত। কফিল ও মনি বেগমের ১২ বছর বয়সী প্রথম কন্যাশিশু পার্শবর্তী শেরপুর সদর উপজেলার জংগলদী গ্রামের নানা বাড়ীতে থেকে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় ২য় শ্রেণীতে লেখাপড়া করে। নানা বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে বেড়াতে আসলে চলতে থাকে ধর্ষণ, কখনও কখনও নানা বাড়িতে গিয়েও ধর্ষণ করত পাষন্ড বাবা। কন্যা শিশুকে তার বাবা কর্তৃক ধর্ষণের বিষয়টি মা মনি বেগম গত ৬ মাস আগে টের পান। বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলায় স্ত্রীকে মারধর করে ও হত্যার হুমকি দেয় স্বামী কফিল। কিন্তু বাধার মুখেও ক্রমাগত ধর্ষণ চলতে থাকায় গতকাল রাতে নির্যাতনের শিকার শিশুকন্যাসহ এক বছর বয়সী আরেক কন্যাকে নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় মা মনি বেগম। পরে আজ মঙ্গলবার সকালে জামালপুর সদর থানায় গিয়ে পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন তিনি।
মানবাধিকার কর্মী জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, বর্বরোচিত পাশবিক এই ঘটনা বিবেককে নাড়িয়ে দিয়েছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত বিচার আইনের আওতায় তিনি অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন। ধর্ষণের ঘটনায় কোন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয় না বলেই সমাজে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটছে বলে তিনি জানান।
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবীর জানান, জামালপুর পৌর এলাকার চন্দ্রা গ্রামের কবির শেখ কফিলের বিরুদ্ধে তার ১২ বছর বয়সী কন্যা শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাই। পরে সকালে তাৎক্ষনিক পুলিশ প্রেরণ করে প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় শিশুর বাবাকে নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় জামালপুর সদর থানায় শিশুটির মা মনি বেগম লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। বিকেলে আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
জামালপুর ট্রিবিউন/শাকিল আহমেদ