স্টাফ রিপোর্টার:
স্মার্ট জামালপুর প্রতিষ্ঠার লক্ষে উন্নয়ন সংঘ, ওয়ার্ল্ড ভিশনের উদ্যোগে বাস্তবায়নাধীন জামালপুর এরিয়া প্রোগ্রাম (এপি) এর মাধ্যমে ২৯ জানুয়ারি দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ শেষে ২৫ নারীকে দেওয়া হল সেলাই মেশিন।
শরিফপুর লক্ষ্মীরচর ও জামালপুর পৌরসভার বাসিন্দা ২৫ জন কর্মসক্ষম দরিদ্র যুবতী নারীকে যুব উন্নয়নের সহায়তায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
একইদিন সেলাইমেশিন বিতরণ অনুষ্ঠানে শরিফপুর ইউনিয়নকে বাল্যবিয়েমুক্ত ঘোষণা করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শাহাদৎ হোসেন।
উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিমের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত সভায় বাল্যবিয়েমুক্তকরণ এবং সেলাইমেশিন বিতরণ অনুষ্ঠানে উদ্দেশ্য, লক্ষ্য বর্ণনা করেন জামালপুর এপির এরিয়া ম্যানেজার সাগর ডি কস্তা। আলোচনায় অন্যান্যের মাঝে অংশ নেন সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সৈয়দ কালাম হোসেন, শরিফপুর ইউপি সদস্য স্বপন ফকির, মুসলিম উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মঞ্জুর রাফি আকন্দ, গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সভাপতি আলমগীর হোসেন, জিয়াউল হক, শিশু ফোরামের সভাপতি মোস্তাকিম হোসেন হৃদয়, সেলাইমেশিন প্রাপ্ত নারী বিউটি, জেমি, বৃষ্টি প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উন্নয়ন সংঘের এপির সিডিও আফরোজা বেগম।
অনুষ্ঠানে সেলাইকর্মীরাসহ গ্রাম উন্নয়ন কমিটি ও ১০ গ্রামের বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ কমিটির দেড় শতাধিক সদস্য অংশ নেন। উপস্থিত সবাই হাত তুলে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে অঙ্গীকার করেন।
সেলাইমেশিন দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধীকার দেওয়া হয় শিশু আছে এমন মায়েদের মাঝে।
প্রশিক্ষণ শেষে সেলাই মেশিন পেয়ে বিউটি বেগম বলেন সেলাইমেশিন দিয়ে উপার্জন করে সন্তানদের পড়ালেখার খরচ, পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো এবং স্বামীর স্বল্প আয়ের পাশাপাশি সংসারের স্বচ্ছলতা আনার জন্য কাজ করবো।
জেমি ও বৃষ্টি একই সুরে বলেন, সেলাইমেশিনের কামাই দিয়া আমাগো পুলা, মাইয়াদের লেহাপরা করামু। পুনাইয়ের বাপের কাছে আমাগো সম্মান বাড়বো। সংসার অভাব না থাকলে শান্তি এমনিই আসে।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শাহাদৎ হোসেন বলেন, সরকারে উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে উন্নয়ন সংঘ এবং ওয়ার্ল্ড ভিশন অনেক ভালো কাজ করছে। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ এবং নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রে আজকের উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে।
যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সৈয়দ কালাম হোসেন বলেন, স্মার্ট জামালপুর গড়তে হলে কারিগরি প্রশিক্ষণের বিকল্প নাই। উন্নয়ন সংঘ ওয়ার্ল্ড ভিশনের এ ধরনের মহতী কাজে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর সর্বাত্মক সহায়তা করবে।
জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, উন্নয়ন সংঘ ওয়ার্ল্ড ভিশনের সহায়তার দৃশ্যমান উন্নয়নে আত্মকর্মসংস্থান, শিশু সুরক্ষাসহ নানা ধরনের উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। অন্যান্য দাতা সংস্থার সহায়তায় অধিকসংখ্যক যুবকদের কারিগরি প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে।
সাগর ডি কস্তা বলেন, ওয়ার্ল্ড ভিশন শিশুদের সর্বোত্তম সুরক্ষায় পরিবারে জীবিকায়ন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, স্যানিটেশন, পুষ্টি, ওয়াসসহ নানামুখী কাজ করছে। উন্নয়ন সংঘের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে আমরা সফলতার সাথে প্রতিটি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছি।
জামালপুর ট্রিবিউন/ আবু সাঈদ