জামালপুরের বকশীগঞ্জে শ্বশুর ও শাশুড়ির নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রবাসী স্বামীর ঘর ছাড়া হয়েছেন কল্পনা বেগম নামে এক নারী। ফলে দুই সন্তান নিয়ে বিপাকে পড়ে পড়েছেন ওই নারী। বর্তমানে স্বামীর বাড়ি ছেড়ে জীবনের নিরাপত্তাহীনতার কারণে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন কল্পনা বেগম।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাধুরপাড়া ইউনিয়নের বাংগাল পাড়া গ্রামের রমজান আলীর মেয়ের কল্পনা বেগমের (২৬) সঙ্গে ২০১৭ সালে বাট্টাজোড় ইউনিয়নের পলাশতলা গ্রামের মোস্তফা মিয়ার ছেলে তারা মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয়। এরই মধ্যে এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের মা হন কল্পনা বেগম। গত এক বছর পূর্বে কল্পনার স্বামী তারা মিয়া জীবন-জীবিকার তাগিদে মালয়েশিয়ায় যান।
কিন্তু কল্পনার স্বামী তারা মিয়া বিদেশে যাওয়ার পর থেকে তার শ্বশুর মোস্তফা মিয়া (৬৫) ও শাশুড়ি রঞ্জি বেগম (৬০) সহ তাদের সহযোগীরা নানা কারণে বিভিন্ন সময় কল্পনা বেগমকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছেন। গত ১ মে পূর্বের ন্যায় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সকাল ৮টার দিকে আবারও কল্পনা বেগমকে ব্যাপক মারধর করেন। শ্বশুর-শাশুড়ি ও অন্যান্যদের নির্যাতনের শিকার হয়ে কল্পনা বেগম তার বাবার বাড়িতে আসতে চাইলে তাকে বাড়িতে আটকে রাখে।
নির্যাতনের বিষয়টি মোবাইলে কল্পনা বেগম তার মা সাজেদা বেগমকে জানালে ১ মে গভীর রাতে থানা পুলিশের সহযোগিতায় স্বামীর বাড়ি থেকে কল্পনা বেগমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শেষে বর্তমানে অসহায় অবস্থায় বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন তিনি।
নির্যাতনের শিকার কল্পনা বেগম জানান, আমার স্বামী বিদেশ যাওয়ার পর থেকে শ্বশুর ও শাশুড়ি মিলে আমাকে মাঝে মধ্যেই নির্যাতন করতো। পাশাপাশি আমাকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। আমি এর থেকে পরিত্রাণ চাই।
নির্যাতনের ঘটনায় কল্পনা বেগমের মা সাজেদা বেগম ২ মে বাদী হয়ে মেয়েকে নির্যাতনের অভিযোগে বকশীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
জামালপুর ট্রিবিউন/ আবু সাঈদ
0 মন্তব্যসমূহ