মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ জামালপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। ৮ মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি ৬৪ হাজার ৭৯৮ ভোট পেয়েছেন। তার চেয়ে ৩ হাজার ৩৭৯ ভোট কম পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন কাপপিরিচ প্রতীকের প্রার্থী জামালপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী মো. হাফিজুর রহমান স্বপন।
জানা গেছে, কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে জামালপুর সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও জামালপুর পৌরসভা এলাকায় ১৬৯টি ভোট কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা হয়। জামালপুর সদর উপজেলায় এবার মোট ভোটারের সংখ্যা ছিল ৫ লাখ ৫১ হাজার ৪৫৫ জন। ভোট গ্রহণ শেষে জামালপুর সদর উপজেলা পরিষদের বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মো. মোজাফফর হোসেন মিলনায়তনে স্থাপিত ফলাফল ঘোষণা কেন্দ্র থেকে নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার।
এবারের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই পদে প্রদত্ত বৈধ ভোটের সংখ্যা এক লাখ ৪২ হাজার ২৬৯টি। ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী বিজন কুমার চন্দ মোটরসাইকেল প্রতীকে ৬৪ হাজার ৭৯৮ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এবার নিয়ে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হলেন। এর আগে ২০০৯—২০১৪ সাল পর্যন্ত নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
তার নিকটতম কাপপিরিচ প্রতীকের প্রার্থী মো. হাফিজুর রহমান স্বপন পেয়েছেন ৬১ হাজার ৪১৯ ভোট। এছাড়া চেয়ারম্যান পদে মোহাম্মদ আবুল হোসেন আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১০ হাজার ৪৮৫ ভোট, মো. আছাদুজ্জামান আকন্দ বাবু দোয়াত কলম প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ৬০০ ভোট এবং মোহাম্মদ আহসানুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীকে ৯৬৭ ভোট পেয়েছেন।
এই নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই পদে প্রদত্ত বৈধ ভোটের সংখ্যা এক লাখ ৪১ হাজার ৩৪৫টি। ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী আখতারুজ্জামান বেলাল উড়োজাহাজ প্রতীকে ৫৩ হাজার ৬৫২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া অন্য দু’জন প্রার্থী টিউবওয়েল প্রতীকে মো. সাইদুর রহমান পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৯৯২ ভোট এবং মো. নাজমুল হোসাইন তালা প্রতীকে ৪০ হাজার ৭০১ ভোট পেয়েছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন দু’জন। এই পদে প্রদত্ত বৈধ ভোটের সংখ্যা এক লাখ ৪১ হাজার ৬১১টি। ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী নাজনীন আক্তার রুমী কলস প্রতীকে ৮৬ হাজার ৬৩২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী মোহসিনা মৌসুমী তার ফুটবল প্রতীকে পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৯৭৯ ভোট।
জামালপুর ট্রিবিউন/ আবু সাঈদ
0 মন্তব্যসমূহ